এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও প্রতিনিধি
ইসলামাবাদের গজালিয়া আর রামুর ঈদগড়ের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে হাতি তাড়ানো কিংবা রক্ষায় গাছের উপর টংঘরে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে।
জানা যায়,ঈদগাঁও নদীর পাশ্বর্বতী দু এলাকায় হরেক রকম তরিতর কারীসহ ধানে বন্যহাতি আক্রমন চালায়। সেই হাতির দলের থাবা থেকে রক্ষা পেতে গ্রামগঞ্জের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের কৃষকরা রাত্রীকালীন সময়ে চাষাবাদের পাশ্ববর্তী গাছে “টং”বেঁধে রাত যাপন করে থাকে। গজালিয়ায় প্রান্তিক চাষীরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে নদীচরে নানা জাতের মৌসুমী তরকারী চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করার পাশাপাশি পরিবারের জিবিকাও নির্বাহ করে থাকে ফলনের
উপর।
কিন্তু এসব কষ্টে ফলানো তরকারী চাষাবাদে নানান সময়ে রাতের আঁধারে কিংবা দিবালোকে উজানে নেমে আসা ক্ষুধার্ত হাতির পাল খাবারের সময় কৃষকের চাষাবাদের উপর অত্যাচার করে। এ থেকে পরিত্রান পাওয়ার লক্ষে টংঘরে বাসা বেঁধে কৃষকরা থাকার কৌশল খুঁজে বের করে। ভোমরিয়াঘোনা-গজালিয়া এলাকার পাহাড়ী পথে
ছোট বড় গাছে টংঘরের নান্দনিক দৃশ্য চোখে পড়ে।
কজন কৃষকসহ পথচারীরা জানান,মৌসুম ভিত্তিক চাষাবাদে চাষীরা তাদের কষ্টাজিত ধান বা তরকারী ক্ষেত পাহারা দেওয়ার লক্ষে এই টংঘর করা হয়।