পাউবো প্রকৌশলী!কৃষকের ১০ হাজার তরমুজগাছ উপড়ে ফেললেন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেলোয়ার খলিফা নামে এক কৃষকের ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
কৃষক দেলোয়ার যুগান্তরকে জানান, গত কয়েক বছর ধরে তিনি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছে। এখানে বন বিভাগের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে গত দুই মাস আগে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ শুরু করেন। শুরুতে বন বিভাগের স্থানীয় বিট অফিসার মোশাররফকে ১০ হাজার টাকাও দিয়েছেন। তারা প্রতিদিন সেখানে গিয়ে চাষের খোঁজখবরও নিতেন।
দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, তার স্বামীর সঙ্গে তিনি ওই জমিতে তরমুজ চাষে সহযোগিতা করেছেন। আর্থিক জোগান দিতে তিনটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে স্বামীকে দিয়েছেন। এখন এই ঋণ কি উপায় পরিশোধ দেবেন এই চিন্তায় তিনি অস্থির।
প্রতিবেশী নাসির মৃধা বলেন, তরমুজের গাছগুলো উপড়ে ফেলতে নিষেধ করে আমরা গ্রামবাসী সবাই অনুরোধ করেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে এই গাছ থেকে ফলন পেতাম। কিন্তু প্রকৌশলী এবং তার লোকজনকে কোনো কথা শোনাতে পারিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, ওই স্থানে এখন প্রকল্প আওতাধীন কাজ চলমান। এ বিষয়ে তারা করণীয় নির্ধারণ করবেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, বিষয়টি জেনেছি। বিস্তারিত খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
পাউবো প্রকৌশলী!কৃষকের ১০ হাজার তরমুজগাছ উপড়ে ফেললেন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেলোয়ার খলিফা নামে এক কৃষকের ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
কৃষক দেলোয়ার যুগান্তরকে জানান, গত কয়েক বছর ধরে তিনি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছে। এখানে বন বিভাগের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে গত দুই মাস আগে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ শুরু করেন। শুরুতে বন বিভাগের স্থানীয় বিট অফিসার মোশাররফকে ১০ হাজার টাকাও দিয়েছেন। তারা প্রতিদিন সেখানে গিয়ে চাষের খোঁজখবরও নিতেন।
দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, তার স্বামীর সঙ্গে তিনি ওই জমিতে তরমুজ চাষে সহযোগিতা করেছেন। আর্থিক জোগান দিতে তিনটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে স্বামীকে দিয়েছেন। এখন এই ঋণ কি উপায় পরিশোধ দেবেন এই চিন্তায় তিনি অস্থির।
প্রতিবেশী নাসির মৃধা বলেন, তরমুজের গাছগুলো উপড়ে ফেলতে নিষেধ করে আমরা গ্রামবাসী সবাই অনুরোধ করেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে এই গাছ থেকে ফলন পেতাম। কিন্তু প্রকৌশলী এবং তার লোকজনকে কোনো কথা শোনাতে পারিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, ওই স্থানে এখন প্রকল্প আওতাধীন কাজ চলমান। এ বিষয়ে তারা করণীয় নির্ধারণ করবেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, বিষয়টি জেনেছি। বিস্তারিত খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।