কেন হেঁচকি ওঠে এবং এটি কি করে বন্ধ করা যায়?

হেঁচকি,কেমোথেরাপির,পার্কিনসন্স,হেঁচকি থামানোর পদ্ধতি,হেঁচকি বন্ধ করার উপায়.

★হেঁচকি একটি সাধারণ বিষয়,এটি সব সময় হয়ে থাকে মানুষের। এটি সাধারণত মানুষের খাবার খাওয়ার সময় বেশি হয়ে থাকে।তাছাড়া কাজের মধ্যে হয়ে থাকে।এমনকি কোনো কারণ ছাড়াই যখন তখন মানুষের হেঁচকি শুরু হলে তা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। 

★ বিভিন্ন ডাক্তাররা গবেষণা করে বের করেন কেন হেঁচকি ওঠে।তারা বলেন পরিপাকতন্ত্রের গোলমালের কারণেই এটি হয়ে থাকে।

 ★যখন খাবার তারা তারি খাই তখন হেঁচকি ওঠতে পারে।তারা তারি খাওয়া সময় পেটে বাতাস ডুকে যায় তখন ভ্যাগাস নার্ভের কার্যকলাপ বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়,তখন হেঁচকি ওঠে সবার।ডাক্তারদের মতে কিছু কিছু ঔষধ সেবন করলে হেঁচকি ওঠতে পারে যেমন,কেমোথেরাপির,পার্কিনসন্স,উত্তেজনাবর্ধক এবং চেতনানাশক ঔষধ চেঁচকি তুলে।তাছাড়া অনেক সময় স্ট্রোকের ক্ষেত্রে,মেনিনজাইটিসের এবং কিডনি ফেল করলে কারণেও হেঁচকি ওঠে।

★চেঁচকি একটি সাধারণ রোগ,এটি যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে হতে পারে।মানুষ যখন হাসি দেয় বা কাশি দেয় তখন হতে পারে।তাছাড়া বেশি মদ্যপান,বেশি খাবার খাওয়া, এবং বেশি পরিমাণের পানি খেলে হেঁচকি ওঠে।ডাক্তারদের মতে অনেক সময় কোন কারণ ছাড়া এটি হয়ে থাকে।

★হেঁচকি ওটা একটি সাধারণ ঘটনা মানুষের জন্য। আর এটি আবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে আবার।তবে বেশিখন ধরে হেঁচকি হলে তা থামানোর জন্য দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।

১=খিঁচুনি বন্ধ করার জন্য শ্বাসনালীতে রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।

২=ভ্যাগাস স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করা শ্বাসপ্রশ্বাস এর মাধ্যমে। 

★হেঁচকি থামানোর পদ্ধতি সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটের বলা হয়েছে। 

★যখন বেশি চেঁচকি ওঠে তখন একটা কাগজের ব্যাগে নিশ্বাস পেলা।কাগজের ব্যাগের বিতরে মাথা ডুকিয়ে নিশ্বাস পেলা

★ অতিরিক্ত হেঁচকি ওঠলে নিজের ২ হাটুকে টেনে ধরে বুক পর্যন্ত এনে এবং সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা।

★বরফ ঠাণ্ডা পানি খাওয়া যখন হেঁচকি থামানো না যায়।

★ কিছু দানাদার চিনি খাওয়া হেঁচকি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। 

★নিজেকে কন্টোল করতে একটি লেবু নিয়ে কামড় দেওয়া বা ভিনেগার খাওয়া। ভিনেগার একটি ঔষধ গাছ।

 ★যখন হেঁচকি ওঠে তখন কিছু সময়ের জন্য নিজের নিশ্বাস বন্ধ করে রাখা।

★যদি এই সকল কিছু অনুসরণ করার পরেও নিজের হেঁচকি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।