ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা নজিরবিহীন রকেট হামলা চালিয়েছে দেশটির রাজধানী তেল আবিবে ইসরাইলের বিমান হামলার জবাবে ।বিবিসি জানিয়েছে,১৩০টি রকেট ছুড়েছে তেল আবিব লক্ষ্য করে গাজার একটি টাওয়ারে হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
অন্যদিকে বলা হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে,হামলা চালানো হয় ১৩ তলা একটি ভবনে গাজা উপত্যকার। তবে এর আগেই সতর্ক করা হয়েছিল হামলার ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন ও ওই ভবনের বাসিন্দাদের।
হামাসের দুই শীর্ষ নেতাসহ ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন,গাজায় গত সোমবার রাত থেকে ইসরাইলের বিমান হামলায় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনে। এছাড়া কয়েকশ ফিলিস্তিনি আরো আহত হয়েছেন।হামাস সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় সহস্রাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের এমন বর্বর হামলার প্রতিশোধ নিতে।
সর্বশেষ গাজা টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়ে গেছে ইসরাইলের বিমান হামলায়। ধারণা করা হয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা হামাসের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। এই হামলার জবাবে ১৩০টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে ইসরাইলের তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে।
তেলআবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে হামাসের রকেট আছড়ে পড়ছে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভেদ করে। এতে ৫ ইসরাইলি নিহত হয়েছে কমপক্ষে ও আহত হয়েছে কয়েকশ।
এছা বলা হয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে,রকেট হামলা চালিয়েছিল আগে ফিলিস্তিনিরা। এর উত্তরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী । আর দুই ইসরায়েলি নিহত হয়েছে তেল আবিবের পার্শ্ববর্তী লড শহরে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায়। তার মধ্যে একজন পুরুষ ও অন্য জন মেয়েশিশু।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংঘর্ষের শুরু ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে। এই সংঘর্ষের সূত্রপাত আল আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদায়। বলা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলির মধ্যে বিগত কয়েক বছরের।
এ সংঘর্ষের পর গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট বলেছেন,৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে। এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে। আর ফিলিস্তিনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন কমপক্ষে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলায় ইসরায়েলের এবং ৫ জন নিহত হয়েছে ইসরায়েলে।