আজ রবিবার (৩০ মে) রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী চলমান লকডাউন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি আরো বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে। এছাড়া একাধিক কর্মকর্তা মনে করছেন,ভালো কাজ করছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই লকডাউন। এটি আরো কিছু দিন চলমান থাকা প্রয়োজন তাই।
জানা গেছে,লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। তার সাথে যুক্ত হচ্ছে আগের শর্তাবলির সঙ্গে কিছু নতুন শর্ত। আলোচনা শোনা যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ থাকতে পারে সীমান্তবর্তী জেলার মানুষের চলাচলের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শনিবার (২৯ মে) রাতে বলেন,সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে সীমান্তবর্তী জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।এজন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে সীমান্তবর্তী জেলার মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ।
৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেসব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের। এছাড়াও সেবা প্রদানের সুযোগ রাখা হয় খাবার দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সমূহ অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে।
গত মার্চে শুরু হয় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। আর সীমিত আকারে লকডাউন দেওয়া হয় ৫ এপ্রিল থেকে। এর পর থেকে লকডাউন এখনো চলমান রয়েছে বিভিন্ন শর্তে।৫৬ দিনের লকডাউন পূর্ণ হতে যাচ্ছে আজ রবিবার একাধিকবার নতুন নিয়ম ও নতুন শর্তের মাধ্যমে। বর্তমানে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র,সরকারি অফিস,মিছিল-মিটিং,সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাবেশ। এছাড়া খোলা রয়েছে দোকানপাট, শপিং মল। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলচে গণপরিবহনও।
সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ এখনো মনে করেন এমন ঢিলেঢালা লকডাউন প্রয়োজন রয়েছে। তবে ভেবে দেখতে হচ্ছে সরকারকে লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য যেসব দাবি জানানো হচ্ছে তা। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি উঠেছে ব্যাপকভাবে। এই দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ক্ষুব্ধ রয়েছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও।
করোনা সংক্রমণ শুরু গত বছর ৮ মার্চ দেশে তখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। আর অফিস বন্ধ থাকে টানা ৬৬ দিন ২৬ মার্চ থেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা আছে আগামী ১২ জুন পযর্ন্ত।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, খোলা হবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন ঝুঁকি নিয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে,এখন ১৩ শতাংশ সংক্রমণ দেশে বহাল রয়েছে।