আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন,তার বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচার ও যে সকল ধরণের দূর্নীতির অভিযোগ এসেছে এই সকল কিছু বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হয়েছে,তাই এই সকল কিছুর দায়ভার বিএনপিকেই নিতে হবে।
কুয়েত অর্থ পাচার এবং মানব পাচারের জন্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড হয়।তাই এই দায়ভার বিএনপি এড়াতে পারে না।
মাহবুব উল আলম হানিফ তার নিজ বাসভবনে আজ ৩০ জানুয়ারি (শনিবার) সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এই কথা বলেন।এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তার স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ। তিনি এর আগে পৌছান ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া।
মাহবুব উল আলম হানিফ সংসদ সদস্য পাপুলের দুর্নীতির বিষয়ে বলেন,তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, তিনি বিএনপির কোন সংসদ সদস্য নয়।এছাড়া আমরা সকলেই মিডিয়ার মধ্যেমে শুনেছি সে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে টাকার জোরে।অর্থের দূর্নীতি উঠেছে সংসদ সদস্য পাপুলের বিরুদ্ধে এবং সেই দূর্নীতি হয়েছিল বিএমপির আমলেই।
তিনি আরো বলেন এই বিষয় নিয়ে,এই সরকারের আমলেই পাপুল বড় লোক হয়নি।আসলে তার সকল অর্থ বিএনপি আমলেই আয় করা হয়েছিল। আবার তিনি সেই দূর্নীতির অর্থ দিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয় এবার।যদি পাপুলের সকল টাকা দূর্নীতি হিসাবে গণনা করা হয় তাহলে তার দূর্নীতি বিএনপিকে বহন করতে হবে।
এই সময় তিনি পদ্মা সেতু নিয়ে বলেন,পদ্মা সেতু কোন দূর্নীতির টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়নি।এই সেতু নিয়ে অভিযোগ আসার পর সেটা আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণিত হয় কোন দূর্নীতি হয়নি এখানে।এটা ছিল একটা বিএমপি মিথ্যা অভিযোগ। এর মাধ্যমে প্রমানিত হয় এর পিছনে হাত ছিল বিএনপি।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার জন্য বিএনপি পরিকল্পিত করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন দাবি করেন মাহবুব উল আলাম হানিফ। তিনি আরো বলেন নির্বাচনের সময় বিএনপি কোন ভেটার পাওয়া যায় না,তার সাথে তাদের এজেন্ট থাকে না।অন্যদিকে নিরপেক্ষ ভানে কাজ করে যায় নির্বাচনি মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদি বিএনপি সন্ত্রাসীরা সহিংসতা সৃষ্টি করে তাহলে তো ব্যবস্থা নিবেই।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায় করলে কোন আওয়ামী লীগ কোন জনকে ছাড় দেয় না।