রেল দু’র্ঘট’নায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মা’রা যায় ১১ জন। এর মধ্যে একজন মুসহাব আহমেদ হিসাম। এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। প্রায় ১৫ বছর আগে (২০০৭ সালে) তার বাবা মা’রা যায়। তার বাবার মৃ”ত্যু’র পর তার দেখাশোনা করছিল
চাচা আকবর হোসেন মানিক। তিন বছর আগে তার মা বোনের কাছে কানাডায় চলে যাওয়া তার পুরো দায়িত্বও যেন এসে পরে চাচার ওপর। হিসামের নানা বেশ অসুস্থ্য থাকায় নানার জন্য কাফনের কাপড় কিনে আনতে বলেছিল তার মা।
চাচাত ভাই কা’ফ’নের কাপড়টা কিনে দিলে, সে কাপড় নিয়ে বাড়িতে আসেন হিসাম। এই কাপড়ের জন্য স্বজনরা তাকে বকাঝকা করে ছিল। ভাগ্যের পরিহাস নানার জন্য কেনা কা’ফ’নের কাপড় দিয়ে তাকে দা’ফন করতে হলো।
হিসামের চাচাতো ভাই জোরাইছ উদ্দিন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি হিসামের বছর দুয়েকের বড় ছিলাম। কিন্তু নিজেদের মধ্যে চলাফেরা ছিল বন্ধুর মত। তার অকালে চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছিনা। তিনি আরও বলেন,
হিসামের নানা বাড়ি রাউজানে। কিছু দিন আগে নানার বেশ অসুস্থ ছিল। মায়ের কথায় নানার জন্য কা’ফনের কাপড় কিনে রাখে সে। কিন্তু কা’ফ’নের কাপড় বাড়িতে আনায় সকলেই তাকে বকা দিয়েছে। কে জানতো এই কা’ফনেই দা’ফন হবে তার।
চাচা আকবর হোসেন মানিক বলেন, হিসামকে তার মা আমার কাছে আমানত দিয়ে গেছে। এরপর থেকে হিসামই সারাক্ষণই আমার সঙ্গে থাকতো। মা, ভাই, বোন কেউ না থাকলেও
কখনো উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করেনি। তার সবকিছু ছিল গোছানো। হিসামের এসএসসি পরীক্ষার পরে কানাডা চলে যাওয়ার কথা ছিলো। আমি তার মা ও ভাইকে এখন কি জবাব দিব?